নিরপেক্ষ বচনে গুণের ভূমিকা:
নিরপেক্ষ বচনে গুণের যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা আদৌ অস্বীকার করা যায় না। কারণ যেকোনো নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়।এই স্বীকার বা অস্বীকার করা টাই হলো নিরপেক্ষ বচনের গুণের বিষয়।যখন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে কিছু স্বীকার করা হয় তখন তাকে স্বীকৃতি সূচক বা হ্যাঁ বাচক রূপে গণ্য করা হয় আর অস্বীকার করলে নঞর্থক বা না বাচক রূপে গণ্য করা হয়।
গুণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ:
গুণ অনুসারে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক এবং নঞর্থক বা না বাচক ।
সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন
যে নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কোনো কিছু কে স্বীকার করা হয় তাকে সদর্থক বা হ্যাঁ বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
•সকল দার্শনিক হন চিন্তাশীল।
•কোনো কোনো দার্শনিক হয় সুখী।
ব্যাখ্যা:
এই দুটি দৃষ্টান্তেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কিছু বিষয় কে যথাক্রমে হন বা হয় দুটি দ্বারা স্বীকার করা হয়েছে।
নঞর্থক বা না বাচক বচন:
যে নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কোনো কিছু কে অস্বীকার করা হয় তাকে নঞর্থক বা না বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
কোনো মানুষ নয় অমর।
কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী।
ব্যাখ্যা:
এই দুটি দৃষ্টান্তেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় তে কিছু বিষয় কে যথাক্রমে নয় শব্দ দ্বারা সঅস্বীকার করা হয়েছে।
0 Comments:
Post a Comment
Write Your thinking 🤔