দর্শন শিক্ষা


Home Syllabus Suggestions Gallery Lebel Questions Paper Android App

Showing posts with label বচনের বিরোধিতা. Show all posts
Showing posts with label বচনের বিরোধিতা. Show all posts

Saturday, December 30, 2023

সত্য মূল্য নির্ধারণের সূত্র

Posted by: || Saturday, December 30, 2023 ||

 




Tags: ,

Friday, November 3, 2023

বচনের বিরোধানুমান আলোচনা করো

Posted by: || Friday, November 03, 2023 ||

 

» উত্তর : যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্বের ভিত্তিতে তার বিরোধী বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব অনুমান করা হয়, তাকে বিরোধানুমান (inference by opposition of propositions ) বলে। একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত চারটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে চার প্রকার যৌক্তিক সম্বন্ধ (Logical | relation) আছে। সম্বন্ধগুলিকে বিরোধিতার সম্বন্ধ বলে। এই চার প্রকার বিরোধিতার সম্বন্ধকে কেন্দ্র করে চার প্রকার বিরোধানুমান রয়েছে। যথা : ১। বিপরীত বিরোধানুমান, ২। অধীন বিপরীত বিরোধানুমান, ৩। বিরুদ্ধ বিরোধানুমান, এবং ৪। অসম বিরোধানুমান।

(১) বিপরীত বিরোধানুমান (Inference by Contrary Opposition) :

দুটি সার্বিক বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যদি এক হয় এবং বচন দুটির মধ্যে যদি কেবল গুণগত পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারষ্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরূপতা বলে। বিপরীত বিরূপতা সম্বন্ধের ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয়, সেই অনুমানকে বিপরীত বিরূপানুমান বলে বা বিপরীত বিরোধানুমান বলে।

(২) অধীন বিপরীত বিরূপানুমান (Inference by Sub-contrary Opposition) : দুটি বিশেষ বচনের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ যদি এক হয় এবং তাদের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অধীন বিপরীত সম্বন্ধ বলে। অধীন বিপরীত বিরোধিতার ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয়, সেই অনুমানকে অধীন বিপরীত বিরূপানুমান বলে।

(৩) বিরুদ্ধ বিরূপানুমান (Inference by Contradictory Opposition) : একই উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ বিশিষ্ট দুটি বচনের মধ্যে যদি গুণ এবং পরিমাণ উভয়ের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরোধিতা সম্বন্ধ বলে। এই সম্বন্ধের ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয় সেই অনুমানকে বিরুদ্ধ বিরূপানুমান বলে।

(৪) অসম বিরূপানুমান (Inference by Subaltern Opposition) : একই উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয় পদ বিশিষ্ট দুটি বচনের মধ্যে কেবল যদি পরিমাণের পার্থক্য থাকে, গুণের পার্থক্য না থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অসম বিরোধিতা সম্বন্ধ ব'ল। অসম বিরোধিতা সম্বন্ধে যুক্ত দুটি বচনের একটির সত্যমূল্য থেকে অপরটির সত্যমূল্য সম্পর্কে যে অনুমান করা হয় সেই অনুমানকে অসম বিরূপানুমান বলে।

 


 

Tags:

Thursday, November 2, 2023

বচনের বিরোধিতা কাকে বলে? বচনের বিরোধিতা কয় প্রকার ও কী কী?

Posted by: || Thursday, November 02, 2023 ||

 বচনের বিরোধিতা:

একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের বা পরিমাণের বা গুণ ও পরিমাণ উভয়ের পার্থক্য থাকে তবে, বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরোধিতা বলে।

বচনের বিরোধিতার প্রকারভেদ:

বচনের বিরোধিতা  চার প্রকার - বিপরীত বিরোধিতা, অধীন বিপরীত বিরোধিতা, অসম বিরোধিতা, বিরুদ্ধ বিরোধিতা।

 

বচনে বিরোধিতার চতুষ্কোণ:


১.বিপরীত বিরোধিতা:

একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি সার্বিক বচনের  মধ্যে যদি গুণের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরোধিতা বলে।

A এবং E  বচনের মধ্যে বিপরীত বিরোধিতা সম্বন্ধ আছে।

আক্ষরিক দৃষ্টান্ত:

A--- সকল S হয় P

E--- কোনো S নয় P

মূর্ত দৃষ্টান্ত:

A -- সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব।

E -- কোনো মানুষ নয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব।

বৈশিষ্ট্য:এই ক্ষেত্রে বচন দুটির উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ এক। উভয় বচন সার্বিক বা সামান্য কিন্তু এদুটির মধ্যে গুণের পার্থক্য আছে।প্রথমটি সদর্থক এবং দ্বিতীয়টি নঞর্থক।

২.অধীন বিপরীত বিরোধিতা:

একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে কেবল গুণের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে অধীন বিপরীত বিরোধিতা বলে।

I এবং O এর মধ্যে অধীন বিপরীত বিরোধিতা সম্বন্ধ আছে।

আক্ষরিক দৃষ্টান্ত:

 I -- কোনো কোনো S হয় P

O -- কোনো কোনো S নয় P

মূর্ত দৃষ্টান্ত:

I -- কোনো কোনো ফুল হয় লাল বস্তু।

O -- কোনো কোনো ফুল নয় লাল বস্তু।

বৈশিষ্ট্য:

•বচন দুটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ অভিন্ন।

•উভয় বচন বিশেষ।

•বচন দুটির গুণের পার্থক্য আছে। একটি সদর্থক ও অন্যটি নঞর্থক।

৩.বিরুদ্ধ বিরোধিতা:

একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি নিরপেক্ষ বচন যদি গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে ভিন্ন হয় তবে,বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে বিরুদ্ধ বিরোধিতা বলে।

আক্ষরিক দৃষ্টান্ত:

A--- সকল S হয় P

O -- কোনো কোনো S নয় P

E-- কোনো S নয় P

I-- কোনো কোনো S হয় P

মূর্ত দৃষ্টান্ত:

A--- সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ জীব।

I-- কোনো কোনো ঘোড়া নয় চতুষ্পদ জীব।

E--- কোনো ঘোড়া নয় চতুষ্পদ জীব।

I-- কোনো কোনো ঘোড়া হয় চতুষ্পদ জীব।

বৈশিষ্ট্য:

•নিরপেক্ষ বচন দুটির উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ অভিন্ন হবে।

•বচন দুটির মধ্যে গুণের পার্থক্য থাকবে।একটি সদর্থক হলে অন্যটি নঞর্থক হবে। একটি নঞর্থক হলে অন্যটি সদর্থক হবে।

•বচন দুটির মধ্যে পরিমাণের পার্থক্য থাকবে। একটি সার্বিক বা সামান্য হলে অপরটি বিশেষ হবে এবং একটি বিশেষ হলে অন্যটি সার্বিক হবে।

৪.অসম বিরোধিতা:

একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে অসম বিরোধিতা বলে।


A এবং I , E এবং O -- এগুলি পরস্পর অসম।

আক্ষরিক দৃষ্টান্ত:

A--- সকল S হয় P

I-- কোনো কোনো S হয় P

এবং

E--- কোনো S নয় P

I-- কোনো কোনো S নয় P

মূর্ত দৃষ্টান্ত:

A--- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।

I-- কোনো কোনো মানুষ হয় মরণশীল জীব।

এবং

E-- কোনো মানুষ নয় অমর।

I-- কোনো কোনো মানুষ নয় অমর।

বৈশিষ্ট্য:

•নিরপেক্ষ বচন দুটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অভিন্ন হবে।

•বচন দুটির গুণ অভিন্ন হবে।

•বচন দুটির পরিমাণ ভিন্ন হবে।

•এই সম্বন্ধ A ও I এবং E ও O বচনের মধ্যে থাকে।





 



Tags:

Popular Posts

 
Powered By
Follow Now || Facebook || Instagram || WhatsApp || Message || E-mails || About || Disclaimer || Privacy || Print Page

All rights reserved || www.darshanshiksha.com || @2023