» উত্তর : যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্বের ভিত্তিতে তার বিরোধী বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব অনুমান করা হয়, তাকে বিরোধানুমান (inference by opposition of propositions ) বলে। একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত চারটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে চার প্রকার যৌক্তিক সম্বন্ধ (Logical | relation) আছে। সম্বন্ধগুলিকে বিরোধিতার সম্বন্ধ বলে। এই চার প্রকার বিরোধিতার সম্বন্ধকে কেন্দ্র করে চার প্রকার বিরোধানুমান রয়েছে। যথা : ১। বিপরীত বিরোধানুমান, ২। অধীন বিপরীত বিরোধানুমান, ৩। বিরুদ্ধ বিরোধানুমান, এবং ৪। অসম বিরোধানুমান।
(১) বিপরীত বিরোধানুমান (Inference by Contrary Opposition) :
দুটি সার্বিক বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যদি এক হয় এবং বচন দুটির মধ্যে যদি কেবল গুণগত পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারষ্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরূপতা বলে। বিপরীত বিরূপতা সম্বন্ধের ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয়, সেই অনুমানকে বিপরীত বিরূপানুমান বলে বা বিপরীত বিরোধানুমান বলে।
(২) অধীন বিপরীত বিরূপানুমান (Inference by Sub-contrary Opposition) : দুটি বিশেষ বচনের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ যদি এক হয় এবং তাদের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অধীন বিপরীত সম্বন্ধ বলে। অধীন বিপরীত বিরোধিতার ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয়, সেই অনুমানকে অধীন বিপরীত বিরূপানুমান বলে।
(৩) বিরুদ্ধ বিরূপানুমান (Inference by Contradictory Opposition) : একই উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ বিশিষ্ট দুটি বচনের মধ্যে যদি গুণ এবং পরিমাণ উভয়ের পার্থক্য থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরোধিতা সম্বন্ধ বলে। এই সম্বন্ধের ভিত্তিতে যে অনুমান করা হয় সেই অনুমানকে বিরুদ্ধ বিরূপানুমান বলে।
(৪) অসম বিরূপানুমান (Inference by Subaltern Opposition) : একই উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয় পদ বিশিষ্ট দুটি বচনের মধ্যে কেবল যদি পরিমাণের পার্থক্য থাকে, গুণের পার্থক্য না থাকে তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অসম বিরোধিতা সম্বন্ধ ব'ল। অসম বিরোধিতা সম্বন্ধে যুক্ত দুটি বচনের একটির সত্যমূল্য থেকে অপরটির সত্যমূল্য সম্পর্কে যে অনুমান করা হয় সেই অনুমানকে অসম বিরূপানুমান বলে।
0 Comments:
Post a Comment
Write Your thinking 🤔